রাব্বি আহমেদ, বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার সদর উপজেলার বদরখালী গ্রামে যৌতুকের দাবী পূরণ না করায় প্রিয়াংকা মালী (২৩) নামের এক গৃহবধূকে শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্বে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঐ গৃহবধূ পিরোজপুরের নাজিরপুরের জয়পুর গ্রামের হরিচাঁদ চন্দ্র মালীর মেয়ে।
পরিবারসূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের গৌতম চন্দ্র মালীর ছেলে সাগর চন্দ্র মালীর (২৭) সাথে বিয়ে হয় প্রিয়াংকার।বিয়ের পর প্রিয়াংকা পরিবার সম্পর্ক মেনে নিয়ে ৩ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দিয়ে সাগরের বাড়িতে পাঠায় প্রিয়াংকাকে। এরপর থেকেই চাকরির কথা বলে সাগরের পরিবার প্রিয়াংকার কাছে আরোও ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় প্রিয়াংকার উপর শুরু হয় স্বামী আর শ্বশুর শ্বাশুড়ী সহ তাদের নির্যাতন। একাধিকার প্রিয়াংকা থানায় যেতে চাইলেও তারা তাকে আটকে রাখে।
এবিষয়ে প্রিয়াংকার বাবা হরিচাঁদ মালী বলেন, মেয়ে আমাকে টাকার কথা বললে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু প্রিয়াংকার শশুর, শাশুরি ও তাদের ছেলে আমাকে জানায় ৫ লাখ টাকা না দিলে তাদের বাড়িতে নাকি সংসার করতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, ওরা প্রিয়াংকাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। আমি খবর পরে মেয়েকে দেখতে গেলে ওরা প্রিয়াংকার সাথে দেখা করতে দেয়নি। বরং তারা আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে বের করে দেয়। আমি আমার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্বার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো। হয়েছে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।